আখেরি চাহার সোম্বা 2024: দোয়া, ফজিলত, করণীয়, দলিল, গোসলের দোয়া ও খাওয়ার দোয়া
আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া, আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া, আখেরি চাহার সোম্বা ২০২৪ দোয়া
কোরআন ও হাদিসে কোথাও আখেরি চাহার সোম্বা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো দোয়ার উল্লেখ বা নির্দেশনা নেই। তাই, কেউ চাইলে নিজের ইচ্ছামত এই দিনটিতে ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন। যদি আখেরি চাহার সোম্বার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া কোথাও পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে এটি কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে নয়, কারণ এমন দোয়ার উল্লেখ কোরআন ও হাদিসে করা হয়নি।
তবে অনেক মানুষ আছেন, যারা আখেরি চাহার সোম্বা পালন করেন, যদিও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই দিনটি পালনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। যারা কোরআন ও হাদিস মেনে চলেন, তারা এই ধরনের দোয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। কিন্তু যারা ধর্মীয় নির্দেশনা মেনে চলেন না, তাদের মধ্যে অনেকেই এ ধরনের দোয়া তৈরি বা অনুসরণ করে থাকেন।
একজন প্রকৃত ইসলাম অনুসারী, যিনি কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে সচেতন, সাধারণত আখেরি চাহার সোম্বা পালনের কোনো বিশেষ দোয়া বা আচার পালন করেন না। তবে অনেকেই, বিশেষত বাংলাদেশে, এই দিনটিকে বিভিন্ন উৎসবের অংশ হিসেবে পালন করেন। ইসলামের মূল নির্দেশনা অনুযায়ী, শুধুমাত্র কোরআন ও হাদিসে প্রদত্ত দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলা উচিত; এবং যেহেতু আখেরি চাহার সোম্বার দোয়া সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে কিছু বলা হয়নি, তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
আখেরি চাহার সোম্বা গোসলের দোয়া
আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে নির্দিষ্ট কোনো “গোসলের দোয়া” কোরআন ও হাদিসে নেই। ইসলামিক বিধি অনুযায়ী, সাধারণভাবে যেকোনো সময় গোসলের জন্য যে দোয়া পাঠ করা হয়, সেটাই যথেষ্ট।
গোসলের সময় নিম্নলিখিত দোয়াটি পাঠ করা যেতে পারে:
গোসলের নিয়ত:“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” (অর্থ: দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি)।
গোসলের দোয়া:নিয়মিত নফল গোসলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই, তবে গোসলের সময় শরীরের পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসুলুল্লাহ” পাঠ করা যেতে পারে।
ইসলামে মূলত সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে গোসল করাই যথেষ্ট। আখেরি চাহার সোম্বার জন্য বিশেষ কোনো দোয়া নির্দিষ্ট করা হয়নি।
আখেরি চাহার সোম্বা খাওয়ার দোয়া
আখেরি চাহার সোম্বার জন্য নির্দিষ্ট কোনো “খাওয়ার দোয়া” কোরআন বা হাদিসে নেই। তবে, ইসলামিক শিক্ষায় খাবার গ্রহণের আগে এবং পরে যেসব দোয়া পড়া হয়, তা এই দিনেও পড়া যেতে পারে।
খাওয়ার আগে পড়ার দোয়া:
بِسْمِ اللَّهِ وَبَرَكَةِ اللَّهِ“বিসমিল্লাহি ওয়া বারাকাতিল্লাহি”অর্থ: আল্লাহর নামে এবং তাঁর বরকতের সাথে।
খাওয়ার পর পড়ার দোয়া:
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ“আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা ওয়া সাকানা ওয়া জাআলানা মীনাল মুসলিমীন।”অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের আহার করিয়েছেন, পানীয় দিয়েছেন এবং আমাদের মুসলিম বানিয়েছেন।
এই দোয়াগুলো যেকোনো দিনে খাওয়ার আগে এবং পরে পড়া যায়, এবং আখেরি চাহার সোম্বার দিনেও এই দোয়াগুলো পাঠ করা যেতে পারে।
আখেরি চাহার সোম্বা ফজিলত
আখেরি চাহার সোম্বা হল ইসলামিক লিপি অনুসারে চাহার সোম্বা বা বুধবারের শেষ দিন। এটি সাধারণত ইসলামী ক্যালেন্ডারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে মুসলিম সমাজে। এই দিনটি বিশেষভাবে দোয়া ও ইবাদতের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর কিছু ফজিলত বা গুরুত্ব থাকতে পারে।
তবে, ফজিলত বা গুরুত্বের ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে এবং ধর্মীয় গ্রন্থ ও সাহাবাদের ব্যাখ্যা অনুসারে এর গুরুত্ব ভিন্ন হতে পারে। যদি আপনার আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হয়, তাহলে কোনো ধর্মীয় স্কলার বা ইসলামিক পণ্ডিতের সাথে আলোচনা করা উপযুক্ত হতে পারে।
আখেরি চাহার সোম্বা করণীয়
আখেরি চাহার সোম্বা, বিশেষ করে ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বিশেষ দিন হিসেবে গণ্য হয়। যদিও এটি একটি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা হিসেবে দেখা যায়, এটি ইসলামের প্রধান উৎসাহিত দিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
তবে, মুসলিম সমাজে সাধারণত এই দিনটি বিভিন্নভাবে পালন করা হয়, এবং এর জন্য কিছু করণীয় কার্যক্রম রয়েছে:
- দোয়া ও ইবাদত: এই দিনটি বিশেষভাবে দোয়া ও ইবাদতের জন্য ব্যবহার করা হয়। মুসলিমরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, হেদায়াত এবং অন্যান্য কল্যাণ কামনা করেন।
- কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত ও ধর্মীয় পাঠ করা হয়। এটি দিনটির মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করে।
- জিকির ও তাসবিহ: আল্লাহর নাম জপ ও তাসবিহ পাঠ করা হয়।
- ছাদাকা: দানের মাধ্যমে গরীব ও অভাবগ্রস্তদের সহায়তা করা।
- বিশেষ ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি: কিছু মুসলিম এই দিনটিকে বিশেষভাবে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে ব্যবহার করে, যেমন অতিরিক্ত নামাজ পড়া বা নফল ইবাদত করা।
- মিলাদ ও আলোচনা: কিছু মুসলিম গোষ্ঠী এই দিনে নবীজীর জীবন, তাঁর শিক্ষা ও অন্যান্য ধর্মীয় আলোচনা সংগঠিত করে থাকেন।
যদিও এগুলি কিছু প্রচলিত প্রথা, মনে রাখতে হবে যে ইসলামের মূল কর্তব্য ও উৎসাহিত কার্যক্রমগুলি হল কোরআন ও হাদীস অনুসারে, এবং এগুলি নির্ভর করে ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও প্রথার ওপর।
আখেরি চাহার সোম্বার দলিল
আখেরি চাহার সোম্বার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ইসলামিক গ্রন্থ এবং ঐতিহাসিক দলিলগুলোতে খুব বেশি উল্লেখ পাওয়া যায় না। এটি একটি ধর্মীয় প্রথা যা বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রথার উপর নির্ভর করে পালন করা হয়।
তবে, কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু পারস্পরিক গ্রন্থ এবং বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে, যা স্থানীয় ইতিহাস ও প্রথা অনুসারে বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, এই দিনটির সাথে সম্পর্কিত মূল দলিল বা প্রমাণ পাওয়া কঠিন হতে পারে, কারণ এটি ইসলামের প্রধান উৎসাহিত দিবসের মধ্যে পড়ে না।
মুসলিম ইতিহাস এবং ধর্মীয় উত্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এই ধরনের প্রথা ও আচার-অনুষ্ঠান ইসলামিক পরিভাষায় মূলত সুন্নাহ ও হাদীসের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়। তবে, আখেরি চাহার সোম্বার গুরুত্বের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্তির জন্য স্থানীয় ইসলামিক স্কলার বা ধর্মীয় পণ্ডিতদের সাথে পরামর্শ করা উত্তম।